নিচের লিখাটুকু ফ্লোরিডার একজন নাগরিক অধিকার আইনজীবী এবং CAIR-FL এর প্রধান নির্বাহী পরিচালক Hasan Shibly লিখেছেন। তার লিখাটুকু বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করা হল।
Hasan Shibly লিখেছেনঃ
এটা পড়ুন:
আমরা মসজিদের গণহত্যার ভিডিও দেখেছি এবং একজন ভাই, নাঈম রশীদকে দেখেছি, সন্ত্রাসীকে ধাক্কা দিয়েছি এবং রাইফেল ছিনতাই করতে প্রায় কাছাকাছি গিয়েছিল। কিন্তু তিনি একা একজন নিরস্ত্র ব্যক্তি ছিলেন। এবং নিহত হলেন। তিনি তার পালনকর্তার রহমতের মধ্যে নিসন্দেহে জীবিত। কিন্তু কল্পনা করুন যদি ৩ বা ৪ বা ৫ জন তার সাথে যেতো। হ্যাঁ, সম্ভবত প্রথম ৩-৪ মারা যেতেন। একা ব্যক্তি, ওই খ্রিস্টান জঙ্গি কে প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। ৫-৬ হলে অবশ্যই তাকে পরাস্ত করতে পারত। কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের উপর দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু এটি আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। আমাদের মানসিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। কেউ যদি আমাদের মসজিদের উপর হামলা করে তবে আমাদের কেবলমাত্র তিনটি পন্থাঃ
-লুকানো,
-পালানো বা
-লড়াই করা।
লুকানো কাজ করবে না। মসজিদ একটি খোলা জায়গা। এবং জনসাধারণের পালাতে এবং প্রস্থান করতে জন্য যথেষ্ট সময় থাকবে না। কিন্তু যথেষ্ট লোক যদি মানসিকভাবে শ্যুটারের সাথে লড়াই করতে এবং ধাক্কা দিতে প্রস্তুত হয়, তবে তারা সফল হতে পারে। এমন একটি দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি শহীদ নঈম রশিদের মতো হতে পারেন যিনি নিজে নিজেকে বীরের মত আত্মত্যাগ করতে ইচ্ছুক ছিলেন এবং নিরস্ত্র করার জন্য হত্যাকারীকে ধাক্কা দিতে ইচ্ছুক হন, তবে নিজেকে নিজে প্রস্তুত করুন। আল্লাহ না করুন, আমরা কখনোই সেই অবস্থা্য উপনীত না হই। কিন্তু যদি আমাদেরকে নাইমের মতো হতে হয়, এবং তখন যদি আমরা ৫-৬ নাইম একসাথে থাকি তবে সন্দেহ নেই যে আমরা সফল হব।
এছাড়াও, যখন দ্বিতীয় মসজিদে কেউ ফায়ার শুরু হল, তখন খুনী পালিয়ে যায়। আমাদের প্রত্যেকটা মসজিদে এমন মানুষ থাকতে হবে, যারা এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন।
আমি বলব না যে আমি ফ্লোরিডাতে কোনো মিম্বারে দাঁড়িয়ে একটি বক্তৃতা দিব, যেটা আমাদেরকে যে কোনও হুমকি কাটাতে সাহায্য করবে। এবং আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি আমাদের অনেকেই একই কাজ করতে পারবে।
আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি শ্রেষ্ঠ রক্ষাকারী।
Leave a Reply